
প্রকাশিত: Mon, Dec 26, 2022 3:34 PM আপডেট: Sun, Jun 22, 2025 12:34 PM
সবই হচ্ছে, তবে সব দায়সারা ভাবে
সুপন রায়
গৌরীপুরের একটু আগে, ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কে, ঢাকা যাবার পথে আচমকা গাড়ির ব্রেক-এ চোখ লাগাটা খুলে গেলো। একে ফরটি সেভেনের মতো এক যন্ত্র নিয়ে
পুলিশ সামনে এলো। উঁকি মেরে দেখলো আমার দিকে। চালকের কাছে গাড়ির কাগজপত্র ও চালানোর লাইসেন্স দেখতে চাইলো। আমি শুধু জানতে চাইলাম, কোনো সমস্যা আছে কিনা? তারা জানালেন, ওভার স্পিড, গতিসীমা ৮০, মেপে তারা পেয়েছেন ১২০। আমি বললাম, রাস্তার কোথাও তো পেলাম না স্পিড কন্ট্রোলের নির্দেশনা। তারা বললেন, আছে। পেছনে ফেলে এসেছি আমরা। কথা হয়তো সত্য। আমি তো হাল্কার ওপর পাতলা ঘুমাচ্ছিলাম। কাগজপত্র নিয়ে চালককে ইশারা দিলেন তারা। আমি শুধু বললাম, যাই করেন, একটু জলদি কইরেন, বেশিক্ষণ টাইম লাগাইয়েন না। মনে মনে একটু খুশি হয়েছি, লাকসাম থেকে রওনা হবার পর, কুমিল্লা অবধি কমসে-কম তিনবার আমি তারে সাবধানে চালানোর জন্য বলছি। সাবধান মানে আস্তে চালাও। গতিসীমা ৭০/৮০ এর বেশি না। এই কথা বলতে বলতে আমি ক্লান্ত। একটু সাইজ হোক, মনে মনে আমি তা সত্যি চাইছি। কিছুক্ষণ পর এসে চালক আমারে কয়, আপনার ভিজিটিং কার্ড চায় পুলিশ। আমি তারে দিলাম ধমক। আমার ভিজিটিং কার্ড ক্যান চাইবে? আমার কোনো কার্ড-ফার্ড নাই। তুমি তোমারটা সামলাও।
কিছুক্ষণ পর আবার ফিরে আসছে। স্যার, আপনার পরিচয় জানতে চায় পুলিশ। এইবার কষে ধমক দিলাম। অপরাধ করছো তুমি, সমস্যা তোমার, আমার পরিচয় ক্যান জানতে চায়, নিশ্চয়ই তুমি কিছু বলছো। আল্লাহর কসম খেয়ে বললো, স্যার আমি কিছু কই নাই। আমি বললাম, গিয়ে বলো, ভিজিটিং কার্ড সঙ্গে নাই, সরকারি কার্ড আছে। এই কথা বলার পর কিছুক্ষণ পর সে আবার ফিরে আসলো, হাতে আটক করা সমস্ত কাগজপত্র। মিটি মিটি করে হাসছে। আমি তারে বললাম, কাহিনি কী? বললো, স্যার, ফাইন-টাইন কিচ্ছু করে নাই, ছেড়ে দিছে। মেজাজটা কিঞ্চিত খারাপ হইলো। ভাবলাম, ফাইন খাইয়া ব্যাটা এইবার সোজা হইবো, হইলো না। কোনো একটা কাজ এইদেশে ঠিক মতো হয় না। অপরাধ করছে, ধইরা শাস্তি দেবে, দিলো না। রাস্তায় গাড়ির স্পিড কন্ট্রোল করবে, বড় বড় করে রাস্তার ওপর লিখে দাও, যেন চোখে পড়ে। দেওয়া নাই। ডিউটি হচ্ছে, মনিটর করবার জন্য নিশ্চয়ই তাদের ওপরে আরো কেউ আছে, সবই হচ্ছে, সব দায়সারা। কাজের কাজ কিচ্ছু হচ্ছে না। ফেসবুক থেকে
আরও সংবাদ
চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে
‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!
কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!
সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি
ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
মতিউর প্রতিদিন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় ৮৩ ব্যাচের বন্ধুদের গ্রুপে সৎ জীবন যাপনের উপদেশ দিতেন!

চ্যাম্পিয়ন ভারত : একটা ছোট মুহূর্ত কতো বড় পার্থক্য গড়ে দিতে পারে

‘ওই ক্যাচ হয়নি, সুরিয়াকুমারকে আবার ক্যাচ ধরতে হবে’!

কতো দেশ, কতোবার কাপ জিতলো, আমাদের ঘরে আর কাপ এলো না!

সংগীতাচার্য বড়ে গোলাম আলি খান, পশ্চিমবঙ্গের গর্ব সন্ধ্যা মুখোপাধ্যায় ও আমি

ইন্ডিয়ান বুদ্ধিজীবী, ফ্যাসিস্ট রাষ্ট্র ও দেশের বুদ্ধিজীবী-অ্যাক্টিভিস্ট
